ফরাসী ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ ফিলিপ শার্লিয়ে বলছেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষ দিকে ১৯৪৫ সালের ২৯শে এপ্রিল বার্লিনে মার্টির নিচের বাংকারের ভেতর এডলফ হিটলার তার প্রেমিকা ইভা ব্রাউন কে বিবাহ করেন।
এবং ৩০শে এপ্রিল তারা দুজনেই আত্মহত্যা করেন।ইভা সায়ানাইড বিষ পান করেন, আর হিটলার নিজের মাথায় গুলি করেন।
তখন রুশ সৈন্যরা বার্লিন শহরের কাছাকাছি ঢুকে পড়েছে, এবং নাৎসী শাসকদের পতন নিশ্চিত হয়ে গেছে।এমন টা জানা জায় গবেষনা থেকে হিটলারের মৃতদেহ জার্মান সৈন্যরাই বাংকার থেকে বের করে চ্যান্সেলরির বাগানে একটি গর্তে ফেলে পেট্রোল ঢেলে আগুনে পুড়িয়ে ফেলে।
কিন্তু তার মৃতদেহের কিছু অংশ রুশরা উদ্ধার করে এবং তা মস্কোয় নিয়ে যায়।
ফরাসী বৈজ্ঞানিকরা বলছেন হিটলারের মাথার খুলির বাম দিকে একটি গর্ত দেখা গেছে - যা সম্ভবত গুলির আঘাতে সৃষ্ট।
এ ছাড়া হিটলারের বাঁধানো দাঁতের ওপর পরীক্ষা চালিয়ে তারা নীলাভ আস্তরণ দেখতে পেয়েছেন তারা - যা সম্ভবত ধাতব দাঁতের সাথে সায়ানাইডের বিক্রিয়ার ফলে সৃষ্টি হয়েছে। এর থেকে প্রমানিত হয় তিনিও বিষ পান করে ছিলেন।
হিটলারের মৃত্যুর পরদিন ১লা মে জার্মান রেডিওতে খবরটি ঘোষণা করা হয়।
জার্মানি থেকে পালিয়ে আসা কর্মী কার্ল লিমান বলে ছিলেন- বেতারে এমন টা জানানো হয়ে ছিলো -"এর পর তারা ভাবগম্ভীর সঙ্গীত বাজালো, এবং ঘোষণা করলো যে 'বলশেভিজমের বিরুদ্ধে লড়াই করার সময়' হিটলার মারা গেছেন।"
"তারা বলে নি তিনি আত্মহত্যা করেছেন, বরং তাদের কথায় মনে হয় যে তিনি যুদ্ধ করতে করতে নিহত হয়েছেন - যা ছিল একটা বড় মিথ্যে।"
এর পর ৭ই মে জার্মানি আত্মসমর্পণ করে - ইউরোপে ৬ বছরের যুদ্ধের অবসান হয়।
তথ্য-ইন্টারনেট
ফরাসী তথ্য।
জার্মান ইতিহাস
Comments
Post a Comment