Skip to main content

প্রতি মিনিটে ৬ পয়সা চার্জ শুরু করল জিও

রিলায়েন্স জিও বুধবার ঘোষণা করল, অন্যান্য মোবাইল নেটওয়ার্কগুলিতে কল করা গ্রাহকদের জন্য এক মিনিটে ৬ পয়সা চার্জ শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থা।

মুম্বই-ভিত্তিক অপারেটর দাবি করেছে, নতুন ভয়েস চার্জটি চলমান ইন্টারকানেক্ট ইউজেস চার্জ (আইইউসি)-এর হারে হবে, যা টেলিকম সংস্থাগুলির ইন্টার-নেটওয়ার্কিং আউটগোয়িং কলগুলিকে সক্ষম করার জন্য টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অব ইন্ডিয়া (ট্রাই) নির্ধারণ করেছিল। এটি অফ-নেট ভয়েস কল হিসাবে পরিচিত।



নতুন পরিবর্তনটি বিশেষত অন্যান্য অপারেটরগুলিতে করা ভয়েস কলগুলির ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে। অর্থাৎ, সমস্ত জিও-টু-জিও কল, ইনকামিং কল এবং জিও-টু- ল্যান্ডলাইন কলগুলির জন্য কোনো অতিরিক্ত চার্জ যোগ করা হবে না।

অফ-নেট ভয়েস কল চার্জের জন্য রিলায়েন্স জিও চারটি আইইউসি টপ-আপ ভাউচারের ঘোষণা করেছে। যেগুলির যার মূল্য মূল্য ১০ টাকা থেকে ১০০ টাকার মধ্যে। জিও বলেছে, এটি গ্রাহকদের জন্য শুল্ক বৃদ্ধি না করার জন্য আইইউসি টপ-আপ ভাউচারের উপর ভিত্তি করে সমমানের অতিরিক্ত ডেটা এনটাইটেলমেন্ট সরবরাহ করবে। একই সঙ্গে পোস্টপেড জিও গ্রাহকদেরও ভাউচারগুলিতে সরবরাহের পরিমাণের চেয়ে নিখরচায় ডেটা এনটাইটেলমেন্ট বৃদ্ধির সঙ্গে অফ-নেট আউটগোয়িং কলগুলির জন্যও প্রতি মিনিটে ৬ পয়সা বিল করা হবে।

সংবাদ মাধ্যমে জারি করা বিবৃতিতে রিলায়েন্স জিও জানিয়েছে, আইইউসির কারণে অপারেটরদের তাদের নেটওয়ার্কগুলিতে অফ-নেট ভয়েস কল সক্ষম করার জন্য বাড়তি খরচের প্রয়োজনের কারণে আউটগোয়িং কল চার্জ চাপাতে বাধ্য হয়েছে সংস্থা। একই সঙ্গে আশ্বাস দিয়ে জানানো হয়েছে, আউটগোয়িং অফ-নেট কলগুলিতে প্রতি মিনিটে ৬ পয়সা চার্জ শুধুমাত্র ততক্ষণ অব্যাহত থাকবে, যতক্ষণ না ট্রাই আইইউসি সম্পূর্ণরূপে বাতিল করে দেয়।

Comments

Popular posts from this blog

খোরমা খেজুরের খাওয়ার গুণ ও উপকার

খোরমা খেজুর ইরান,ইরাক সৌদি আরব এবং পাকিস্তানে হয়ে থাকে। খোরমা খেজুর পষ্টিকর ও যৌনশক্তি বর্দ্ধক। খোরমা খেজুরে রয়েছে প্রচুর ক্যালোরি ও  খাদ্যগুণ যেমন - ভিটামিন-বি,-সি, আয়রন এবং প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও ক্যালসিয়াম, অ্যামিনো অ্যাসিড, ভিটামিন-কে। ★★★ খেজুর সেবনে যৌবন বা তারুণ্য ধরে রাখে এবং যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধি ও ঘনত্ব বাড়ায়। ইউনানি শাস্ত্রে অধিকাংশ শক্তিবর্ধক হালুয়া তৈরিতে খোরমা খেজুরের ব্যবহার অনস্বীকার্য। ★★★ খেজুর হৃদপিণ্ডকে সুস্থ্য সবল রাখে এবং রক্তচাপের জন্য খুবই উপকারী। খেজুরে থাকা উচ্চ মাত্রার ভিটামিন-বি’ নার্ভকে শান্ত করে রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে৷ এটি ভালো ঘুম হতে সহায়তা করে৷ ★★★ খেজুর শারীরিক শক্তি যোগাতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। শুকনো খেজুরের শতকরা ৮০ ভাগই চিনি যা সরাসরি রক্তে চলে যায়, তাই শুকনো খেজুরকে মরুভূমির গ্লুকোজ বলা হয়ে থাকে৷ ★★★ খেজুরে আছে অ্যামিনো অ্যাসিড ও ট্রিপটোফেন, যেটি সিরোটোনিন হরমোন তৈরিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ যা মনে আনন্দের অনুভূতি ছড়িয়ে দিয়ে মনকে সতেজ রাখে। ★★★ খেজুর রুচি বাড়াতে খেজুরের কোন তুলনা হয় না। অনেক শিশুরা তেমন একটা খেত

অভিযুক্ত ধর্ষকদের বেছে-বেছে খুন করতেন বাংলাদেশের সিরিয়াল কিলার ‘হারকিউলিস’

 রাস্তার ধারে পড়ে আছে একটি মৃতদেহ। মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে তাকে। এতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হল, মৃতদেহের গলার সুতো দিয়ে বাঁধা একটি চিরকুট। আর তাতে লেখা, “আমি পিরজপুর ভাণ্ডারিয়ার মাদ্রাসা ছাত্রীর ধর্ষক রাকিব। ধর্ষকের পরিণতি এটাই। ধর্ষকরা সাবধান।” নিচে নাম লেখা, ‘হারকিউলিস’।  কী ভাবছেন? কোনো পাল্প ফিকশনের পাতা থেকে তুলে আনা কোনো কাহিনি এটা? না একদমই তা নয়। এই গল্পের মতো ঘটনাই ঘটেছে বছর দেড়েক আগে। বাংলাদেশে ঝালাকাঠি জেলায় সত্যিই খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল এমন একটি দেহ। একটা নয়, দুসপ্তাহের মধ্যে তিনটি এমন মৃতদেহের সন্ধান পেয়েছিল পুলিশ। আর প্রতি ক্ষেত্রেই মৃতব্যক্তি ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত। ২০১৯ সালে ১৪ জানুয়ারি রাজধানী ঢাকা শহরের এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে গণধর্ষণ করে হত্যা করা হয়। ঘটনায় মূল অভিযুক্তদের একজন রাকিব। সে ঢাকার একটি আইন-কলেজের ছাত্র ছিল। কিন্তু ঘটনার পর থেকেই পুলিশ আর তার সন্ধান পায়নি। অন্যজনের নাম সজল। কিন্তু ২২ জানুয়ারি হঠাৎ আর সজলের কোনো হদিশ পাওয়া যায় না। ২৪ জানুয়ারি সকালে সজলের মৃতদেহ পাওয়া যায় রাস্তার ধারে। একইভাবে মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে তাকে। আর গ

১২ বছর ধরে জমানো ৩৫ কেজি কয়েন দিয়ে মাকে ফ্রিজ কিনে দিল যুবক

এক, দুই, পাঁচ ও দশ টাকার কয়েন জমানো শুরু হয়েছিল ১২ বছর আগে। ১৭ বছরের যুবক রাম সিং চেয়েছিল, জন্মদিনে মাকে একখানা বড়সড় রেফ্রিজেরেটর উপহার দেবে। যেমন ভাবনা তেমন কাজ। ১২ বছর ধরে সে টাকা জমাচ্ছে। ২০০৭ সাল থেকে আজ পর্যন্ত রাম সিং জমিয়েছে ৩৫ কেজি কয়েন। আর সেই ৩৫ কেজি কয়েন নিয়ে রাম সিং সোজা হাজির হয় রেফ্রেজেরেটর-এর দোকানে। আর সেদিনই রাম সিং খবরের কাগজে বিজ্ঞাপন দেখেন, একটি সংস্থার রেফ্রিজেরটরে ছাড় দেওয়া হচ্ছে। তাই আর দেরি করেনি রাম সিং। সোজা হাজির হয় দোকানে। ১৩ হাজার পাঁচশো টাকা নিয়ে শোরুমে হাজির হন রাম সিং। কিন্তু পুরো টাকাটাই শোরুম মালিককে তিনি দেন কয়েনে। প্রথমে শোরুম মালিক ব্যাপারটা বুঝতে পারেননি। পরে তিনি রাম সিংয়ের সঙ্গে কথা বলে ঘটনাটা জানতে পারেন। ২০০৭ সালে রাম সিংয়ের বয়স ছিল পাঁচ বছর। সেই সময় থেকে মায়ের জন্মদিনে উপহার দেওয়ার জন্য অল্প অল্প করে টাকা জমাতে শুরু করে রাম সিং। এভাবেই প্রায় ১২ বছর ধরে প্রতিদিন অল্প অল্প করে কয়েন জমাতে থাকে সে। ১২ বছর পর মোট কয়েনের ওজন গিয়ে দাঁড়ায় ৩৫ কেজিতে। তার পরেই ফ্রিজ কেনার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে রাম সিং। মায়ের জন্মদিনেই সমস্ত কয়েন নিয়ে