Skip to main content

সিঁদুর পরার কারন ও গুরুত্ব

বর্তমান মেয়েদের ১টা কমন প্রশ্নঃ
 শাঁখা সিঁদুর পরতে হবে কেন? 


প্রথমেই বলে নেই এটা আপনাকে যে পরতেই হবে আর না পরলে যে আপনি নরকবাসী হবেন তেমন কোন ধর্মীয় বিধান আমার মতে জানা নেই। তবে কেন শাঁখা সিঁদুর আমাদের হিন্দু বিবাহিত নারীরা পরে আসছে ??
১/আধ্যাত্মিক কারণ : শাঁখার সাদা রং- সত্ত্ব, সিঁদুরের লাল রং – রজঃ এবং লোহার কাল রং- তম গুণের প্রতীক। সংসারী লোকেরা তিনটি গুণের অধীন হয়ে সংসারধর্ম পালন করে।
 ২/ সামাজিক কারণ : তিনটি জিনিস পরিধান করলে প্রথম দৃষ্টিতেই জানিয়ে দেয় ঐ রমণী একজন পুরুষের অভিভাবকত্বে আছেন। সে কারণেই অন্য পুরুষের লোভাতুর, লোলুপ দৃষ্টি প্রতিহত হয়। স্বামীর মঙ্গল চিহ্ন তো অবশ্যই।
 ৩/ বৈজ্ঞানিক কারণ : রক্তের ৩টি উপাদান শাঁখায় ক্যালসিয়াম, সিঁদুরে মার্কারি বা পারদ এবং লোহায় আয়রণ আছে। রক্তের ৩টি উপাদান মায়েদের মাসিক রজঃস্রাবের সাথে বের হয়ে যায়। তিনটি জিনিস নিয়মিত পরিধানে রক্তের সে ঘাটতি পূরণে সহায়তা করে।
 আর্য ঋষিগণ সনাতন ধর্মের প্রতিটি আচার অনুষ্ঠানেই বৈজ্ঞানিক প্রয়োজনীয়তাকে প্রাধান্য দিয়ে আচার বা অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করেছেন। লক্ষ্য করবেন -* সিঁদুর দেয়ার সময় মায়েরা নিচের দিকে নয়, ঊর্ধ্বায়ণ করে। কেন? সিঁদুর ঊর্ধ্বায়ণের মাধ্যমে রমণীগণ নিয়ত তার স্বামীর আয়ু বৃদ্ধির প্রার্থনা করে। *শুভ বিজয়াতে বা বিভিন্ন পূজা পার্বণে মায়ের দেবী দুর্গাকে সিঁদুর ছোঁয়ান বা একে অন্যে সিঁদুর পরান। কেন? দুর্গা দেবীর কাছে প্রার্থনা করেন সিঁথির সিঁদুর যেন অক্ষয় থাকে। একে অন্যকে পড়ান সে বাসনাতেই।
 আজ আধুনিকতার নামে অনেক মেয়েই মনে করেন শাঁখা সিঁদুর পরানোর নামে তাদেরকে হেয় করা হচ্ছে/পুরুষের চেয়ে খাটো করে দেখা হচ্ছে আসলে কি তাই? —
**যে স্বামী আজীবন আপনার পাশে ছায়ার মত থাকার শপথ নিয়েছে তার মঙ্গলের জন্য এতটূকু কষ্ট করতে পারবেন না?
 **সৌন্দর্যের বিচারে শ্বেত-শুভ্র শাঁখা আর লাল টকটকে সিঁদুরের মত এত অর্থপুর্ন কসমেটিক্স বর্তমান বাজারে ২য় টি কি আছে?
 ***আমার এই কথার পর হয়তো নয় শিওর ভাবছেন _ তাহলে ছেলেদের এমন কিছু নেই কেন? তাইতো?-
স্বভাবতই মেয়েরা সাজুগুজু পছন্দ করে। তাই মেয়েদের এই দিক টা মাথায় রেখেই শাঁখা সিঁদুরের মত এত পবিত্র উপকরনের কথা চিন্তা করা হয়েছে । সেদিক থেকে ছেলেরা অনেক দুর্ভাগ্যবান যে তাদের এমন কিছু নেই যা বিয়ের স্বীকৃতি স্বরূপ স্ত্রীরা তাদের দেবেন এবং সবসময় সাথে রাখবেন। তবে হ্যা বস্তুত কিছু না থাকলেও অদৃশ্য কিছু ১টা অবশ্যই আছে । সেটা আপনার ভালবাসার বন্ধন।
 আর যদি সেটা আপনাকে পুরুষের চেয়ে নিচুই করার উদ্দেশ্যে করা হত তবে একবার ভাবুন- মেয়েদের জন্য অবশ্যপরিধান যোগ্য কোন পোশাক হিন্দু নিয়মে আছে? ভাবুন আপনাকে যদি মোড়কে ভর্তি করে রাখার ব্যাবস্থা চালু থাকত আর সেটা অমান্য করলে শাস্তির বিধান চালু থাকত ধর্মীয়ভাবে!আর সেটা মান্য করলে স্বর্গলাভের আশা দেখানো হত! আপনি সেটা অমান্য করতেন? তাই অনুরোধ ভালো আর খারাপের যথার্থ বিচার স্বয়ং নিজে করুন। আপনার বিবেককে কাজে লাগান। যাকিছু যুক্তিযুক্ত কেবল ততটুকুই গ্রহণ করুন।

Comments

Popular posts from this blog

খোরমা খেজুরের খাওয়ার গুণ ও উপকার

খোরমা খেজুর ইরান,ইরাক সৌদি আরব এবং পাকিস্তানে হয়ে থাকে। খোরমা খেজুর পষ্টিকর ও যৌনশক্তি বর্দ্ধক। খোরমা খেজুরে রয়েছে প্রচুর ক্যালোরি ও  খাদ্যগুণ যেমন - ভিটামিন-বি,-সি, আয়রন এবং প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও ক্যালসিয়াম, অ্যামিনো অ্যাসিড, ভিটামিন-কে। ★★★ খেজুর সেবনে যৌবন বা তারুণ্য ধরে রাখে এবং যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধি ও ঘনত্ব বাড়ায়। ইউনানি শাস্ত্রে অধিকাংশ শক্তিবর্ধক হালুয়া তৈরিতে খোরমা খেজুরের ব্যবহার অনস্বীকার্য। ★★★ খেজুর হৃদপিণ্ডকে সুস্থ্য সবল রাখে এবং রক্তচাপের জন্য খুবই উপকারী। খেজুরে থাকা উচ্চ মাত্রার ভিটামিন-বি’ নার্ভকে শান্ত করে রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে৷ এটি ভালো ঘুম হতে সহায়তা করে৷ ★★★ খেজুর শারীরিক শক্তি যোগাতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। শুকনো খেজুরের শতকরা ৮০ ভাগই চিনি যা সরাসরি রক্তে চলে যায়, তাই শুকনো খেজুরকে মরুভূমির গ্লুকোজ বলা হয়ে থাকে৷ ★★★ খেজুরে আছে অ্যামিনো অ্যাসিড ও ট্রিপটোফেন, যেটি সিরোটোনিন হরমোন তৈরিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ যা মনে আনন্দের অনুভূতি ছড়িয়ে দিয়ে মনকে সতেজ রাখে। ★★★ খেজুর রুচি বাড়াতে খেজুরের কোন তুলনা হয় না। অনেক শিশুরা তেমন একটা খেত

অভিযুক্ত ধর্ষকদের বেছে-বেছে খুন করতেন বাংলাদেশের সিরিয়াল কিলার ‘হারকিউলিস’

 রাস্তার ধারে পড়ে আছে একটি মৃতদেহ। মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে তাকে। এতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হল, মৃতদেহের গলার সুতো দিয়ে বাঁধা একটি চিরকুট। আর তাতে লেখা, “আমি পিরজপুর ভাণ্ডারিয়ার মাদ্রাসা ছাত্রীর ধর্ষক রাকিব। ধর্ষকের পরিণতি এটাই। ধর্ষকরা সাবধান।” নিচে নাম লেখা, ‘হারকিউলিস’।  কী ভাবছেন? কোনো পাল্প ফিকশনের পাতা থেকে তুলে আনা কোনো কাহিনি এটা? না একদমই তা নয়। এই গল্পের মতো ঘটনাই ঘটেছে বছর দেড়েক আগে। বাংলাদেশে ঝালাকাঠি জেলায় সত্যিই খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল এমন একটি দেহ। একটা নয়, দুসপ্তাহের মধ্যে তিনটি এমন মৃতদেহের সন্ধান পেয়েছিল পুলিশ। আর প্রতি ক্ষেত্রেই মৃতব্যক্তি ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত। ২০১৯ সালে ১৪ জানুয়ারি রাজধানী ঢাকা শহরের এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে গণধর্ষণ করে হত্যা করা হয়। ঘটনায় মূল অভিযুক্তদের একজন রাকিব। সে ঢাকার একটি আইন-কলেজের ছাত্র ছিল। কিন্তু ঘটনার পর থেকেই পুলিশ আর তার সন্ধান পায়নি। অন্যজনের নাম সজল। কিন্তু ২২ জানুয়ারি হঠাৎ আর সজলের কোনো হদিশ পাওয়া যায় না। ২৪ জানুয়ারি সকালে সজলের মৃতদেহ পাওয়া যায় রাস্তার ধারে। একইভাবে মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে তাকে। আর গ

১২ বছর ধরে জমানো ৩৫ কেজি কয়েন দিয়ে মাকে ফ্রিজ কিনে দিল যুবক

এক, দুই, পাঁচ ও দশ টাকার কয়েন জমানো শুরু হয়েছিল ১২ বছর আগে। ১৭ বছরের যুবক রাম সিং চেয়েছিল, জন্মদিনে মাকে একখানা বড়সড় রেফ্রিজেরেটর উপহার দেবে। যেমন ভাবনা তেমন কাজ। ১২ বছর ধরে সে টাকা জমাচ্ছে। ২০০৭ সাল থেকে আজ পর্যন্ত রাম সিং জমিয়েছে ৩৫ কেজি কয়েন। আর সেই ৩৫ কেজি কয়েন নিয়ে রাম সিং সোজা হাজির হয় রেফ্রেজেরেটর-এর দোকানে। আর সেদিনই রাম সিং খবরের কাগজে বিজ্ঞাপন দেখেন, একটি সংস্থার রেফ্রিজেরটরে ছাড় দেওয়া হচ্ছে। তাই আর দেরি করেনি রাম সিং। সোজা হাজির হয় দোকানে। ১৩ হাজার পাঁচশো টাকা নিয়ে শোরুমে হাজির হন রাম সিং। কিন্তু পুরো টাকাটাই শোরুম মালিককে তিনি দেন কয়েনে। প্রথমে শোরুম মালিক ব্যাপারটা বুঝতে পারেননি। পরে তিনি রাম সিংয়ের সঙ্গে কথা বলে ঘটনাটা জানতে পারেন। ২০০৭ সালে রাম সিংয়ের বয়স ছিল পাঁচ বছর। সেই সময় থেকে মায়ের জন্মদিনে উপহার দেওয়ার জন্য অল্প অল্প করে টাকা জমাতে শুরু করে রাম সিং। এভাবেই প্রায় ১২ বছর ধরে প্রতিদিন অল্প অল্প করে কয়েন জমাতে থাকে সে। ১২ বছর পর মোট কয়েনের ওজন গিয়ে দাঁড়ায় ৩৫ কেজিতে। তার পরেই ফ্রিজ কেনার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে রাম সিং। মায়ের জন্মদিনেই সমস্ত কয়েন নিয়ে