সাংসারিক জীবনে কোনওকালেই মোহ ছিল না তাঁর সন্ন্যাসী হওয়ার ইচ্ছা নিয়ে তিনি এসেছিলেন বেলুড় মঠে৷ কিন্তু মোদির মতোই তাঁকেও ফিরিয়ে দিয়েছিলেন বেলুড়ের মহারাজরা৷ ফলে আবারও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে গিয়েছিলেন তিনি৷ কিন্তু তাও সংসার করেননি৷ মায়ের মৃত্যুর পর থেকে একজন সন্ন্যাসীর মতোই কুড়ে ঘরে দিন কাটাচ্ছ ছাপোষা প্রতাপচন্দ্র সারেঙ্গিকেই নিজ মন্ত্রিসভায় ঠাঁই দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ প্রতিমন্ত্রী করলেন ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প মন্ত্রক এবং পশু, গোপালন ও মৎস্য মন্ত্রকের
অন্যান্য রাজনীতিকদের থেকে অনেকটাই আলাদা তাঁর জীবনযাত্রা৷ সম্পত্তি বলতে রয়েছে একটি কুড়ে ঘর ও একটি সাইকেল৷ আর নিজের লোক বলতে রয়েছে এলাকার ছোট বাচ্চারা৷
২০০৯-তে বিজেপির তরফে তিনি প্রার্থী ঘোষিত হলেও, নির্বাচনে নির্দল প্রার্থী হিসাবে লড়েন তিনি৷ কারণ, দলের টিকিট নিয়ে বাসে করে বাড়ি ফেরার পথে, সেই টিকিট হারিয়ে ফেলেন প্রতাপচন্দ্র সারেঙ্গি৷ সূত্রের খবর, এই অত্যন্ত সাদামাটা স্বভাবের জন্যই সকলের বিশ্বাস ও নির্ভরতার আরেক নাম হয়ে ওঠেন প্রতাপচন্দ্র সারেঙ্গি৷ গত লোকসভা নির্বাচনেও বালাসোর থেকেই বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি৷ কিন্তু সামান্য ভোটের ব্যবধানে হেরে গিয়েছিলেন৷ তবে এবার ১২ হাজারের কিছু বেশি ভোটে বিজেপি প্রার্থীকে হারিয়ে তিনি জয় পেয়েছেন৷ ওড়িশায় এলে যে ব্যক্তির সঙ্গে অবশ্যই দেখা করেন, এবার তাঁকেই নিজের মন্ত্রিসভায় ঠাঁই দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ কুড়ে ঘর থেকে এবার গণতন্ত্রের পীঠস্থানে জায়গা পেলেন ওড়িশার এই ছাপোষা মানুষটি৷
Comments
Post a Comment